চেহারা ও ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করার ১টি হোমিওপ্যাথি ওষুধ
পুরুষ বা মহিলা হোক চেহারা সুন্দর ও ত্বক উজ্জ্বল করতে কে না চায়? আজকে আমরা চেহারা ও ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করার কার্যকর হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব।
চেহারা ও ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করার হোমিওপ্যাথি ওষুধ |
চেহারা ও ত্বক কালো হওয়ার কারণ
আামদের চেহারা ও ত্বক কালো যে কারণগুলো রয়েছে সেগুলো মেলানিন পিগমেন্টেশনের আধিক্য। চামড়ায় যদি মেলানিন পিগমেন্টেশেন বেশি থাকবে সেই চামড়া সেই চামড়ার উজ্জ্বলতা কম হবে। সেই চামড়া কালো দেখাবে।
তার সাথে সাথে আমাদের শরীরে বা চেহারায় যদি চর্মরোগ থাকে-ব্রন, মেছতা, ব্ল্যাকহেডস এসমস্ত কারণে চেহারা কালো হয়।
চেহারা ও চামড়া উজ্জ্বল না হওয়ার আরেকটি কারণ ব্লাড বা রক্ত পরিস্কার না হওয়া। যার যত রক্ত পরিস্কার হবে তার ততো চর্মরোগ কম থাকবে আর তার চামড়ার উজ্জ্বলতা বেশি হবে।
Berberis Aquif Q /Class-D :
চেহারা ও ত্বক সুন্দর ও উজ্জ্বল করার হোমিওপ্যাথি ওষুধ Berberis Aquif Mother Tincture Q |
: সেবনবিধি :
এবার জেনে নিই Berberis Aquif Q ওষুধটি কীভাবে ব্যবহার করবেন। এটি আপনাকে দুইভাবে ব্যবহর করতে হবে। আপনাকে ওরাল ড্রপ হিসেবে খেতে হবে আর এটা আপনার চামড়ায় বা চেহারায় লাগাতে হবে।
Berberis Aquif Q ওষুধটি ৩০ থেকে ১০০ এমএল মতো কিনে নিবেন। এটি ওরাল ড্রপ হিসেবে আধাকাপ পানিতে ১৫ ফোঁটা করে দিয়ে দিনে তিনবার খেতে হবে। খাবার আধঘণ্টা আগে খেতে হবে।
আর চেহারা বা চামড়া উজ্জ্বল করার জন্য যেসমসন্ত জায়গা আপনি উজ্জ্বল করতে চান সেই সমস্ত জায়গায় এই Berberis Aquif Q লাগাতে হবে। যতটা পরিমাণ Berberis Aquif Q দিবেন… যদি ২০ ফোঁটা Berberis Aquif Q দেন তাহলে ২০ ফোঁটা গোলাপজল মেশাতে হবে।
মেশানো হয়ে গেলে তুলো দিয়ে চেহারায় বা চামড়ায় লাগাতে হবে। তাহলে চেহারার উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে।
এবার যাদের চামড়া খুবই খসখসে তারা গোলাপজলের পরিবর্তে গ্লিসারিন বা ভ্যাসলিন ব্যবহার করতে পারেন।
এটি দিনে দুইবার এভাবে ব্যবহার করতে হবে। রাতে একবার ব্যবহার করতে হবে সকালে একবার ব্যবহার করতে হবে।
এভাব যদি আপনি ব্যবহার করেন তাহলে এক মাসের মধ্যেই আপনার চেহারা উজ্জ্বলতা লক্ষ করতে পারবেন। কিন্তু এটি আপনাকে ৬ মাস পর্যন্ত ব্যবহার করতে হবে।
হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেলে কাঁচা পেঁয়াজ, কাঁচা রসুন, টক, কফি, গুটকা খেতে পাবেন না। উগ্র পারফিউম ব্যাবহার করবেন না।
এই পোস্টের কনটেন্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তার মুহাম্মদ রাযা কাদেরীর মতামত। তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।