চোখে দৃষ্টিশক্তি বাড়ানো, চোখের ছানি, চোখে ঝাপসা দেখা প্রভৃতি রোগের প্রতিরোধে একটি কার্যকর জার্মান চোখের ড্রপ সম্পর্কে আলোচনা করবো।  

দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ



দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ
দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর হোমিওপ্যাথি ওষুধ Dr Reckeweg Cineraria Maritima Eye Drops


দাম: ৩৬০ টাকা। অর্ডার  করতে কোড নাম্বার উল্লেখ করুন। CODE-30.


আমাদের চোখে নানা ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করা যায়। যেমেন চোখের দৃষ্টিশক্তি কম হয়ে যাওয়া। যার জন্য আমাদের চশমা ব্যবহার করতে হয়।


এমনকি ছোট ছোট বাচ্চারাও মোটা মোটা পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করে। এছাড়াও যখন বয়স হয় তখন চোখে ছানি হয়।


তাছাড়া চোখের জ্বালা করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখে চুলকানিসহ নানা সমস্যা লক্ষ করা যায়। 

চোখের দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার নানা কারণ রয়েছৈ। নার্ভের দুর্বলতা, শরীরের পুষ্টির অভাব ইত্যাদি কারণে আমাদের দৃষ্টিশক্তি কমে যায়। 

কারও চোখে কাছে দেখতে অসুবিধা হয় কারও ক্ষেত্রে আবার দূরে দেখতে অসুবিধা হয়। কারও কারও আবার দুটি প্রবলেমেই দেখা যায়। 

এসব ক্ষেত্রে চোখের ডাক্তাররা প্রথমে নার্ভের এবং ভিটামিনের ওষুধ দেন। যদি না সারে তাহলে চশমা ব্যবহার করতে দেন। 

বয়স্কদের ক্ষেত্রে চোখের কমন রোগ হলো ছানি পড়া। এক্ষেত্রে ডাক্তাররা অপারেশন করতে বলেন।

এছাড়াও আমাদের চোখে নানা ধরনের একিউট ডিজিজ হয়ে থাকে। যেমন চোখ জ্বালা করা, ঠাণ্ডা লাগারর ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া, চোখ কটকট করা ইত্যাদি। 

ল্যাপটপে মোবাইলে কাজ করার ফলে, বেশি টিভি দেখার ফলে যাদের চোখে ক্লান্তি অনুভূত হয় তারাও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

জার্মান হোমিওপ্যাথি ড্রপ

এটি আপনার দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করবে। ঝাপসা দৃষ্টি দুর করতে সাহায্য করবে। আপনি যদি চশমা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চশমার পাওয়ার কমাতে সাহায্য করবে। 

এই ড্রপ আপনার চোখে ছানিও (যদি থাকে) দুর করতে সাহায্য করবে। এক্ষেত্রে ছানি অপারেশনের দরকার হবে না। কিছু ক্ষেত্রে এমনও হয়েছে এই ড্রপটি ব্যবহার করার  ফলে চশমা ছেড়ে দিয়েছে। 

এই ড্রপটির নাম হলো Dr. Reckeweg Cineraria Eye Drops. এটিতে অ্যালকোহল নাই।

অনেক আই ড্রপে দেখা যায় এলকোহল থাকে যার ফলে চোখে দিলে চোখ জ্বালা করে। কিন্তু এই ড্রপটিতে এলকোহল নাই বলে চোখে জ্বালা করবে না। 

ব্যবহারবিধি

প্যাকেট খুললেই একটি নির্দেশনার কাগজ আছে। এখানে কোম্পানি ও ওষুধের ব্যপারে ডিটেইলস লেখা আছে। 

প্যাকেট খুললে দেখবেন সিপিটা হালকা করে লাগানো আছে। সিপি‘র মধ্যে একটি সুচের মতো প্লাস্টিক আছে। সিপি যদি টাইট করে লাগানো হয় তাহলে এটি অটোমেটিক ফুটো হয়ে যাবে। এর জন্য এটিকে সুচ দিয়ে ফুটো করার প্রয়োজন নেই। 

ড্রপটি ফুটো করার পর একমাসের বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না। 

ওষুধ প্রয়োগের মাত্রা

ল্যাপটপে মোবাইলে কাজ করার ফলে, বেশি টিভি দেখার ফলে যাদের চোখে ক্লান্তি অনুভূত হয় তারাও এটি ব্যবহার করতে পারবেন। 

এক্ষেত্রে বড়রা দুফোঁটা করে চোখে দিয়ে দিনে দুবার ব্যবহার করবেন। সকালে একবার আর রাতে ঘুমানোর সময় একবার। 

ছোটরা একফোঁটা করে চোখে দিনে দুবার ব্যবহার করবে। সকালে একবার এবং রাতে ঘুমানোর সময় একবার। 

এভাবে যদি ব্যবহার করেন তাহলে আপনার চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি পাবে আর তিন মাস পর পর ডাক্তার দেখিয়ে চোখের পাওয়ার চেক করতে হবে। চশমার পাওয়ার  কমে গেলে তখন কম পাওয়ারের চশমা ব্যবহার করবেন। 

অন্যদিকে, চোখের একিউট ডিজিজের ক্ষেত্রে যেমন চোখে জ্বালা করা, চোখ দিয়ে পানি পড়া এ সমস্ত ক্ষেত্রে বড়রা দুফোঁটটা করে দিনে চারবার চোখে দিবেন। আর ছোটরা একফোঁটা করে দিনে চারবার চোখে দিবে। 

এই আই ড্রপটি ব্যবহার করে অবশ্যই তিনমাস অন্তর অন্তর চোখের পাওয়ার চেক করে নিবেন।

সতর্কতা


যদি এটি ব্যবহার করার ফলে জ্বালা বৃদ্ধি পায় তাহলে এটা ব্যবহার করা বন্ধ করে দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। ড্রপারের মুখে যেন হাত না দেওয়া হয়। 



এই পোস্টের কনটেন্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তার মুহাম্মদ রাযা কাদেরীর মতামত। তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।