বর্তমান সময়ে অনিদ্রা, ঘুম ঠিকঠাক না হওয়া, মানসিক চাপ, বিষণ্নতা এই সমস্ত মানসিক রোগ ব্যাপক আকারে লক্ষ করা যাচ্ছে। এই রোগগুলোর মধ্যে একটি বিশেষ রোগ ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা। এটা বেশির ভাগ মানুষের মধ্যেই লক্ষ করা যাচ্ছে।

গভীর ঘুম হওয়ার জার্মান হোমিও ওষুধ
গভীর ঘুম হওয়ার জার্মান হোমিও ওষুধ

কারণ

এর বিভিন্ন কারণ রয়েছে এবং এর বিভিন্ন লক্ষণ নিয়ে আলোচনা করব। এবং কার্যকর একটি জার্মানির হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব। 

বর্তমানে মানুষ রাতের পর রাত জেগে চলেছে। তাদের ঘুম ঠিকঠাক আসে না। এই রকম অবস্থা হয় যে দিনের বেলায় তাদের মধ্যে তন্দ্রা লক্ষ করা যায়, তাদের মধ্যে অলসতা লক্ষ করা যায়। তারা ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না।  

অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া হওয়ার নানা কারণ রয়েছে তার মধ্যে প্রথম যে কারণ তাহলো স্ট্রেস বা মানসিক চাপ। এমন মানসিক চাপ রয়েছে যার ফলে তার ঠিকঠাক মতো ঘুম আসে না। 

দ্বিতীয় যে কারণ তাহলো ট্রাভেলিং আর ওয়ার্ক। অর্থাৎ কেউ যদি এমন কাজ করে যে তাকে শুধু ভ্রমণ করতে হয় তার ফলেও তার ঠিকঠাক মতো ঘুম হয় না। আর এমন কাজের প্রেসার যার ফলেও তার ঘুম হয় না। 

তৃতীয় যে কারণ তার যে ঘুমের অভ্যাস সেটা যদি দুর্বল হয়, দেখা গেল যে সে নয়টার সময় ঘূমায়  কোনো দিন ১০টার সময় ঘুমায়, কোনওদিন আটটার সময় ঘুমায়, এমন যদি তার অভ্যাস হয় তাহলেও তার মধ্যে অনিদ্রা লক্ষ করা যায়। 

চুতুর্থ কারণ হলো দেরিতে খাওয়া। যদি কোনও ব্যক্তি দেরি করে খাবার খায় রাতে ঘুমাতেও তার দেরি হবে। তাই তাড়াতাড়ি খাওয়ার খেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর চেষ্টা করতে হবে। 

যদি কোনও ব্যক্তির মানসিক রোগ থাকে বা তার মধ্যে যদি পাগলামি লক্ষ্য করা যায় মানসিক বিভিন্ন রকম সমস্যা লক্ষ্য করা যায় তাহলেও তার মধ্যে অনিদ্রা লক্ষ্য করা যায়। 

এছাড়া ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমন হয়। এমন কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় অনিদ্রা বা ইনসমনিয়া লক্ষ্য করা যায়। 

সপ্তম যে কারণ তা হচ্ছে নেশা। যদি কেউ ক্যাফেইনের নেশা, নিকোটিনের নেশা, মদের নেশা করে অর্থাৎ কেউ যদি অত্যাধিক কফি খায়, অত্যধিক মদপান করে, অত্যধিক ধূমপান করে তার ফলেও তার মধ্যে ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা লক্ষ করা যায়। 

অষ্টম কারণ হলো রক্তচাপ। প্রেসার যদি অত্যধিক হাই থাকে তাহলেও আপনার ইনসমনিয়া বা অনিদ্রা লক্ষ্য করা যায়। 

লক্ষণ

রাতে ঘুম তাড়াতাড়ি আসে না। মাঝরাতে রোগী হঠাৎ উঠে পড়েন। তারপর তার ঘুম আসে না। এছাড়াও দেখা যায় রোগী সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে পড়ে, তার মধ্যে ঘুম ঘুম ভাব থাকে। দিনের বেলায় তার তন্দ্রা লক্ষ্য করা যায়। তার কাজের মধ্যে বিফলতা লক্ষ্য করা যায়। ঠিকঠাক কাজ করতে পারে না। এমনকি ঘুম ঠিকঠাক না হলে দুর্ঘটনা পর্যন্ত হতে পারে। 

রোগীর মধ্যে তন্দ্রা লক্ষ্য করা যায়। রোগীর মধ্যে অলসতা লক্ষ্য করা যায়। তার গভীর ঘুম হয় না। খিটখিটে মেজাজ লক্ষ্য করা যায়। তার মধ্যে বিষন্নতা , উদ্বেগ, অবসাদ, ইত্যাদি লক্ষ করা যায়।

জার্মানির হোমিওপ্যাথিক কম্বিনেশন মেডিসিন

এই মেডিসিনের নাম হলো Adel 25. এটি Somcupin নামেও পরিচিত। এটি পেকানা জার্মানি কোম্পানির। এই কম্বিনেশন মেডিসিনটি তৈরি হয়েছে ইনসমনিয়ার জন্য।

এই Adel 25 এ যেসমস্ত হোমিওপ্যাথি মেডিসিন মেশানো রয়েছে সেগুলো হলো Argentum nitricum 4x, Aurum chloratum natr. 4x, Avena sativa 4x, Coffea 12x, Eschscholtzia calif. 6x, Lactuca virosa 6x, Staphisagria 6x, Zincum valerianicum 12x. এই ওষুধগুলোর আলাদাভাবে কার্যকারিত নিচে দেওয়া হলো-

Argentum nitricum 4x: এটি আমাদের নার্ভের সিস্টেমকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে। এটি অস্থির হতে দেয়না। অনিদ্রার ফলে আামদের শরীরে যেসমস্ত সমস্যঅ সৃষ্টি হয়ে থাকে তার দুর করতে সাহায্য করে।  

Coffea 12x: এটিও আমাদের ব্রেনের উত্তেজনাকে শান্ত করতে সাহায্য করে। 

Staphisagria 6x: আমাদের অত্যধিক যৌন দুর্বলতার ফলে যদি ঘুম ঠিকঠাক না হয় বা  অন্যান্য মানসিক দুর্বলতার কারণে যদি আমাদের ঘুম ঠিকঠাক না হয় সেটি দুর করতে সাহায্য করে। 

Eschscholtzia calif. 6x এবং Lactuca virosa 6x:  Eschscholtzia calif. এবং Lactuca virosa একটি আরামদায়ক ঘুমের প্রভাব প্রদান করে। অন্যদিকে Lactuca কার্যকরভাবে শ্বাসযন্ত্র এবং পরিপাকতন্ত্রের বিঘ্নিত অবস্থার চিকিৎসা করে।

Aurum chloratum natr. 4x: এই ওষুধটি বিষণ্ণতা এবং বিষণ্ণতার অনুভূতি থেকে মুক্তি দেয়। একারণে মানসম্পন্ন ঘুম নিশ্চিত হয়। 

Avena sativa 4x: এটি আমাদের নার্ভের টনিক হিসেবে কাজ করে আমাদের ঘুম হতে সাহায্য করে। 

গভীর ঘুম হওয়ার জার্মান হোমিও ওষুধ
গভীর ঘুম হওয়ার জার্মান হোমিও ওষুধ Adel-25

দাম: ৪৮০ টাকা/২০ এমএল। অর্ডার করতে কোড নাম্বার উল্লেখ করুন।
CODE-26.

সেবনবিধি

বড়রা ১৫-২০ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানি দিয়ে দিনে তিনবার খাবেন। খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা ৩০ মিনিট পরে খাবেন। 

আর ছোটরা ৭-১০ ফোঁটা করে কাপের ৪ ভাগের এক ভাগ পানি দিয়ে দিনে ৩ বার খাবে। খাবারের ৩০ মিনিট আগে বা ৩০ মিনিট পরে খাবে। 

এইভাবে যদি খায় তাহলে যে সমস্ত ব্যক্তির ঘুম ঠিকঠাক হয় না তাদের গভীর ঘুম হবে এবং ঘুম ঠিকঠাক না হওয়ার ফলে যে সমস্ত সমস্যা হয়ে থাকে তা দুর হবে। 



এই পোস্টের কনটেন্ট ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বিখ্যাত হোমিওপ্যাথি ডাক্তার মুহাম্মদ রাযা কাদেরীর মতামত। তাঁর প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা।