বাত বা আর্থ্রাইটিস বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে। বিভিন্ন কারণ অনুসারে এই বাতের নাম হয়ে থাকে। যেমন রিউম্যাটিক আর্থ্রাইটিস, গেটে বাত, অস্টিওআর্থ্রাইটিস। স্পনডিলাইসিস। লুম্বাগো, ব্যাক পেইন, স্যাকরাল আর্থ্রাইটিস ইত্যাদি বিভিন্ন  নামে বাত বা আর্থ্যাইটি পরিচিত। 

সব রকম বাত ব্যথার একটি  হোমিওপ্যাথি ওষুধ
সব রকম বাত ব্যথার একটি  হোমিওপ্যাথি ওষুধ

কারণসমূহ


>রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস অটো ইমিউন ডিজিসের ফলে হয়ে থাকে। বাংলায় একে সন্ধিবাত বলে থাকি। এই সন্ধিবাত ইমিউন সিস্টেমের গন্ডগোলের ফলে হয়ে থাকে। 


>গেঁটে বাত হয় ইউরিক এসিডের আধিক্যেরর ফলে। ইউরিক এসিড বেড়ে গেলে জয়েন্টে জয়েন্টে ইউরিক এসিড জমে এক ধরনের গিট তৈরি করে। একে গেটে বাত বলে। 


>অস্টিওআর্থ্রাইটিস হাড় বাড়ার ফলে হয়ে থাকে এমন বাত। এটা হাটুতে হয়ে থাকে। 


>অস্টিওপোরোসিস হয়ে থাকে হাড় ক্ষয়ের ফলে। জয়েন্টের হাড় বয়স হওয়ার সাথে সাথে ক্ষয়ে থাকে। 


>সায়টিকা নার্ভের ইনফ্লামেশনের ফলে সায়টিকা বাত হয়ে থাকে। 


>শিরদাঁড়ার ক্ষয়ের ফলে স্পন্ডিলাইসিস আর্থ্রাইটিস হয়ে থাকে। 


>মাংসপেশিতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামের অভাবে বাত হয়ে থাকে। 


লক্ষণসমূহ


>রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা সন্ধিবাত হলে গিট ফুলে যাবে। জ্বর থাকবে। এটি অল্পবয়স্কদের বেশি হয়। বয়স্কদের কম হয়।  


>গেঁটে বাত হলে গিটগুলো নড়াচড়া করতে অসুবিধা হবে এবং ইউরিক এসিডের আধিক্য লক্ষ করা যাবে। রক্ত পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে তাদের ইউরিক এসিড রয়েছে। আর গিটে গিটে ব্যথা করবে। 


>অস্টিওপোরোসিস বেশির ভাগ হাটুতে হয়ে থাকে, বয়স্কদের হয়ে থাকে। 


>অস্টিওআর্থ্রাইটিসও হাটুতে হয়ে থাকে এবং বয়স্কদের হয়ে থাকে। বড় বড় জয়েন্টে বেশি হয়ে থাকে। জায়গাগুলো ফুলে যায়, নড়চড়া করতে অসুবিধা হয়, উঠাবসা করতে ব্যথা করে। চলাফেরা বা হাটতে পারে না। 


>সার্ভাইক্যাল স্পন্ডাইলোসিস হয়ে থাকলে সার্ভাইক্যাল রিজিয়নে ব্যথা করবে, ঘাড় ঠিকমতো ঘোরাতে পারবেন না। 


>অ্যানকিলোজিং আর্থ্রাইটিস হয়ে থাকলে কোমড়ে ব্যথা থাকবে। 


>লাম্বাগো হয়ে থাকলেও কোমড়ে ব্যথা করবে। এটি মহিলাদের জড়ায়ুর প্রবলেেমের কারণেও হয়ে থাকে। ঠিকমতো বসতে পারবেন না। কাজ করতে অসুবিধা হবে। 


>যদি অপনার মাংসপেশিতে বাত হয়ে থাকে তবে মাংসপেশীতে ব্যথা করবে, টিপলে আরাম লাগবে। 


>সায়টিকা বাম দিকে বেশি হয়ে থাকে। ডানদিকেও হয়। একদিকে টান ধরে ব্যথা থাকবে। খিঁচে থাকবে। 


জার্মান কম্বিনেশন মেডিসিন 


এক্ষেত্রে কার্যকর একটি হোমিওপ্যাথি মেডিসিন হলো R 11. জার্মান কোম্পানি ড. রেকওয়েগ এটি তৈরি করে। ২২ এমএলের সিল্ড ফাইল আছে। এতে যেসব হোমিওপ্যাথি ওষুধ মেশানো আছে তা প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করা আছে। (বিস্তারিত ভিডিওতে দেখুন)। 


সেবনবিধি


সবেমাত্র ব্যথা শুরু হয়েছে এমনক্ষেত্রে আপনারা ১০ ফোঁটা ওষুধ সামান্য পানিতে দিয়ে একঘণ্টা পর পর খেলে ব্যথা কমে যাবে। ব্যথা কমে গেলে ওষুধটি বন্ধ করে দিবেন। 


পুরনো ব্যথার ক্ষেত্রে বড়রা কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। 


ছোটরা ৭ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়াার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। 


এভাবে যদি ওষুধটি খেতে থাকেন তাহলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকবে। কিন্তু আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে কোন কারণে আপনার এই রোগটি হয়েছে। সেই কারণের জন্য আপনাকে আলাদা ওষুধ খেতে হবে। 


এই R 11 পেইন কিলার হিসেবে আপনাকে আরাম দেবে। কিন্তু আপনার রোগটা সারাতে হলে তার কারণ ও লক্ষণ অনুযায়ী দুয়েকটি ওষুধ খেতে হবে।