লিভার ও পিত্তথলির সমস্ত সমস্যার একটি জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ
লিভার ও পিত্তথলির একটি কার্যকর জার্মান হোমিওপ্যাথি কম্বিনেশন মেডিসিন নিয়ে আলোচনা করব। এটি আমাদের লিভার ও পিত্তথলি বা গলব্লাডারের যাবতীয় রোগ থেকে আমাদের আরাম দেয়।
লিভার ও পিত্তথলির সমস্ত সমস্যার একটি জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ |
লিভার বা যতৃত আমাদের শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গ। সবচেয়ে বড় গ্রন্থি হচ্ছে লিভার। লিভারে যদি সমস্যা দেখা দেয় তাহলে আামদের সমস্ত শরীরে সমস্যা শুরু হয়ে যায়।
লিভারের মাধ্যমে আমাদের রক্ত দূষিত থেকে পরিষ্কার হয়। এটির মাধ্যমে আমাদের বিপাকীয় ক্রিয়া হয়। হজম হয়। খাবারের পুষ্টি আামদের শরীরে লাগে। আমাদের গ্যাস-অম্বল ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করে লিভার।
লিভারে সমস্যা হলে কি হয়-
>জন্ডিস হয়।
>লিভার সিরোসিস হয়।
>লিভারের ক্যান্সার হয়।
>লিভার বেড়ে যায়। যেটাকে বলে ফ্যাটি লিভার।
>এছাড়া আরো বিভিন্ন ধরনের সমস্যা আমাদের শরীরের মধ্যে লক্ষ্য করা যায়।
আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ হলো পিত্তথলি বা গলব্লাডার। পিত্তথলিতে সমস্যা হলেও আমাদের যেসব সমস্যা হয়-
>গ্যাস-অম্বল হয়।
>পেটে ব্যথা হয়।
>এছাড়া নানা ধরনের সমস্যায় আমরা পড়ে থাকি।
কার্যকর হোমিওপ্যাথি কম্বিনেশন ওষুধ
ওষুধটির নাম R 7. এটি জার্মানির ডা. রেকওয়েগ কোম্পানির তৈরি। এটি লিভার ও পিত্তথলির একটি টনিক বলতে পারেন।
যেসব ক্ষেত্রে ওষুধটি ব্যবহার করা হয়-
>লিভার ও পিত্তথলির কার্যগত ও গঠনগত সমস্যা হলে।
>পাথর ও পিত্তক্ষরণের সমস্যা হলে
>লিভারের প্রদাহ হলে ।
>পেট ফুলে গেলে।
>অল্পতেই পেট ভরে গেলে।
>ক্ষুধামান্দ্য, মুখে তিতা স্বাদে ।
>পেট ফাঁপা।
>কোষ্ঠকাঠিন্য হলে।
>মানসিক ও স্নায়বিক উত্তেজনায়।
যেসমস্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ এই R 7 এ মেশানো আছে সেগুলো প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করা আছে। আপনারা দেখে নিবেন।
যাদের লিভার ও পিত্তথলির রোগ নেই তারাও এগুলো ঠিক রাখতে এই ওষুধটি খেতে পারেন।
সেবনবিধি
>বড়রা ১৫ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন।
>ছোটরা ৭ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে।
এভাবে যদি খান তাহলে আপনার লিভার ও পিত্তথলি বা গলব্লাডার সুস্থ থাকবে। লিভার শক্ত হয়ে যাওয়া, লিভার বড় হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবেন।
এছাড়া পিত্তথলি শক্ত হওয়া, ব্যথা হওয়া, পাথরজমা ইত্যাদি থেকেও আপনারা আরাম পেয়ে যাবেন।
ওষুধটি আপনারা প্রয়োজন অনুযায়ী ৩ থেকে ৬ মাস পর্যন্ত খেতে পারেন।