কিছু মহিলার দেখা যায় অতিরিক্ত রক্তক্ষণ হয়। আর এটি সাতদিনের বেশি হয়। একরম যদি হয়ে থাকে তাহলে তাকে অতিরিক্ত মাসিক ঋতুস্রাব বলা হয়ে থাকে। এটি ইংরেজিতে মেনোরেজিয়া বলা হয়। 

মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধের হোমিওপ্যাথি ওষুধ
মাসিকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধের হোমিওপ্যাথি ওষুধ

লক্ষণসমূহ


>মাসিক হলে অতিরিক্ত রক্তস্রাব হয়। যার ফলে বারবার প্যাড  চেঞ্জ করতে হয়। এছাড়া অতিরিক্ত ব্লিডিং হওয়ার কারেণ একটি প্যাডে কাজ হয় না। ডাবল প্যাড ব্যবহার করতে হয়। 


>ঘুম ও কাজের ব্যাঘাত ঘটে।


> দুর্বলতা-ক্লান্তি লক্ষ্য করা যায়। 


>কাজ-কর্মে মন বসে না। চুপচাপ শুয়ে থাকতে ইচ্ছা করে। 


>নড়চড়া করতে ইচ্ছা করে না।


>রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।


>ওজন কমে যায়। 


>শ্বাস-প্রশ্সাসের সসস্যা দেখা যায়। ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্সাব নিতে হয়। 


>এই রোগ থেকে আরো অন্যান্য রোগের সৃষ্টি হয়। তাই এই রোগের চিকিৎসা করা খুব দরকার। 


কারণসমূহ


>প্রথম কারণ হরমোনাল ইমব্যালান্স। 


>ওভারি ঠিকমতো কাজ না করলে। 


>জরায়ুতে যদি থাইরয়েড বা টিউমার থাকলে।


>জরায়ুতে পলিপস থাকলে।


>জরায়ুতে অ্যাডেনোমায়োসিস থাকলে

>জরায়ুতে ক্যান্সার।


>গর্ভধারনের সমস্যা থাকলে।


>গর্ভপাত হলে।


>জরায়ুতে আঘাত লাগলে


হোমিওপ্যাথি ওষুধ


ওষুধটি তৈরি করতে তিনটি হোমিওপ্যাথি ওষুধ দরকার। 


>Ustilago May Q


>Hamamelis Virginiana Q


>Crocus Sativus Q


এই তিনটি ওষুধ ২০ এমএল করে নিয়ে ১০০ এমএলের একটি কাচেঁর শিশিতে মিক্স করে ভাল করে ঝাকিয়েঁ নিবেন। তৈরি হয়ে গেল  মেনোরেজিয়ার একটি কার্যকর কম্বিনেশন মেডিসিন। 


সেবনবিধি


১৫ ফোঁটা করে হাফকাপ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাবার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 


এই ওষুধ খাওয়ার একদিনের মধ্যেই রক্তস্রাব কমে আসবে বা বন্ধ হয়ে যাবে। 


বায়োকেমিক ওষুধ


দুটি বায়োকেমিক ওষুধ খেতে হবে। 


>ferrum phosphoricum 6x 


>natrum muriaticum 12x


ferrum phosphoricum 6x খেলে রক্তস্বল্পতা দুর হবে আর রক্তস্রাব বন্ধ করতে সাহায্য করবে। 


মাথাঘোরা, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য সমস্যা এই ওষুধের দ্বারা দুর হবে। আর রোগী আরাম পেয়ে যাবে। 



natrum muriaticum 12x দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে। অতিরিক্ত রক্ষক্ষরণ দূর করতে সাহায্য করে। 


সেবনবিধি


দুটি বায়োকেমিক মেডিসিন প্রতিটি চারটি  করে মোট আটটি ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে চুষে খাবেন। গরম পানিসহ খাবেন। 


খাবার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 


এভাবে যদি এই ওষুধগুলো খান তাহলে আপনার ব্লিডিং বন্ধ হয়ে যাবে। ব্রিডিং বন্ধ হওয়ার পরও যদি খান তাহলে আপনার দুর্বলতা, রক্তাল্পতা ও অলসতা চলে যাবে। শ্বাস-প্রশ্সাসে প্রবলেম যদি হয়ে থাকে তাহলে এই বায়োকেমিক ওষুধের মাধ্যমে সেটাও  দূর হয়ে যাবে। 


তবে আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে কোন রোগের রকারণে আপনার জরায়ুতে অতিরিক্তি ব্লিডিং হচ্ছে সেই রোগের চিকিৎসা একান্তই প্রয়োজন।