পাকস্থলির যাবতীয় সমস্যার একটি জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ
আমাদের আশপাশে অনেকেরই পাকস্থলিতে গন্ডগোল লেগেই থাকে। আজ পাকস্থলির গন্ডগোল থেকে বাঁচতে একটি জার্মান কম্বিনেশন ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব।
পাকস্থলির যাবতীয় সমস্যার একটি জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ
এটি স্টমাক ড্রপ বা পাকস্থলি ড্রপ নামে পরিচিত। এটি পাকস্থলির যাবতীয় রোগ দূর করতে সাহায্য করে। এবং গ্যাস, আলসার ইত্যাদি টাইপের যেসমস্ত রোগ পাকস্থলিতে হয়ে থাকে তার দূর করতে সাহায্য করে। এটা আমরা পাকস্থলির টনিক বলতে পারি।
আজকাল প্রতি ১০ জনের নয়জনেরই পাকস্থলিতে সমস্যা রয়েছে। কেউ বলবে আমার পেটে ব্যথা, কেউ বলবে পেট জ্বলে, কেউ বলবে পাকস্থলি শক্ত হয়ে থাকে। পাকস্থলির এ ধরনের বিভিন্ন সমস্যা আমরা দেখতে পাই।
হোমিওপ্যাথি কম্বিনেশন ওষুধ
ওষধুটির নাম R 5. এটি জার্মানির বিখ্যাত ডা. রেকওয়েগের তৈরি।
–নতুন ও পুরনো গ্যাসের ফলে যদি আপনাদের পাকস্থলিতে ব্যথা হয়, সেক্ষেত্রে এটি খুব উপকারী।
–অজীর্ণ, বদহজমের ক্ষেত্রে উপকারী।
–আলসারের কারণে প্রদাহ থাকলে উপকারী
–আলসার না থাকলেও উপকারী।
–বুক জ্বালা করা, মুখের স্বাদ খারাপ হয়ে যাওয়া, বাজে ঢেকুর ওঠা, বায়ু নিঃসরণ হয়
–পাকস্থলির ঝিল্লী প্রদাহে কাজ করে
R 5 এ যেসমস্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ মেশানো রয়েছে সেগুলো প্যাকেটের গায়ে লেখা আছে। আপনারা দেখে নিবেন।
সেবনবিধি
>বড়রা কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে ১৫ ফোঁটা করে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট পরে খাবেন।
>ছোটরা দুই চামচ পানিতে ৭ ফোঁটা করে মিশিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাবে।
এভাবে যদি খান তাহলে আপনাদের পাকস্থলির সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
ওষুধটি আপনারা একমাস থেকে তিন মাস পর্যন্ত খেতে পারেন।
একটি বায়োকেমিক মেডিসিন
এর সাথে আপনারা যদি মনে করেন একটি বায়োকেমিক মেডিসিন খাবেন তো খেতে পারেন। এটি হলো BC 25. এটিও গ্যাস-অম্বল ও পাকস্থলির দুর্বলতা দূর করতে সাহায্য করে।
সেবনবিধি
>বড়রা চারটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। চুষে খাবেন। গরম পানিসহ খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাবেন। অন্য কোনো ওষুধ খেলে ১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খাবেন।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। চুষে খাবে। গরম পানিসহ খাবে। গরম পানি দিয়ে না পারলে ঠাণ্ডা পানি দিয়েও চলবে। কিন্তু গরম পানি দিয়ে খাওয়া ভালো। অন্যকোনো ওষুধ খেতে ১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খাবে।
এভাবে যদি এই ওষুধগুলো খান তাহলে আপনারা পাকস্থলির সমস্যা থেকে আরাম পেয়ে যাবেন।