আজ আমরা পাইলসের একটি কার্যকর জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব। যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা পোস্ট/ভিডিওটি সম্পূণর্ দেখুন। 

পাইলসের একটিমাত্র জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ
পাইলসের একটিমাত্র জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ


খেয়াল করলে দেখা যাবে অর্শ বা পাইলস অনেক মানুষের হয়ে থাকে। তাই প্রথমেই কারণ সম্পর্কে জানি। 


কারণমূহ


>লিভারের রোগ বা লিভার সিরোসিস হলে।


> হার্টের রোগ হওয়ার ফলে।


>অতিরিক্ত মসলাদার খাবার খাওয়া, মাংস বেশি খাওয়ার কারণেও হতে পারে। ,


>মদ্যপান বা নেশা করলে।


>রাত জাগার ফলে।  


>যদি কোনও রোগের কারণে মলদ্বারে কোত দেওয়া লাগে সেক্ষেত্রেও পাইলস হয়ে থাকে।

>জোলাপ জাতীয় ওষুধ ব্যবহার কারণে যদি বারবার পায়খানা হয় তাহলেও একসময় পাইলস হয়ে যায়।

>বংশগত কারণেও পাইলস হয়ে থাকে। 


পাইলস তিন ধরনের হয়ে থাকে-


১. এক্সটারনাল পাইলস: এধরনের পাইলসে ফোলা আংশ মলদ্বারের বাহিরে থাকে।


২. ইন্টারনাল পাইলস বা ব্লিডিং পাইলস: এধরনের পাইলস হলে ফোলা অংশ মলদ্বারের ভেতরে থাকে। 


৩. মিশ্রিত পাইলস: এটি হলে ফোলা অংশ বাইরেও থাকে ভেতরেও থাকে। 


লক্ষণ


পাইলস হলে মলদ্বার দিয়ে রক্ত বের হয়। মলদ্বারে ব্যথা করে, মলদ্বার ফুলে যায়, মলদ্বারে প্রদাহ হয়, আর মলদ্বারের বাইরে আঙ্গুরের মতো ছোট ছোট গুটি দেখা যায়। অনেক সময় এগুলো ভেতরে থাকে। 


বাইরে যদি এ ধরনের আঙ্গুরের মতো ছোট ছোট বলী লক্ষ করা যায় তাহলে এক্সটার্নাল পাইলস বলে। আর এমন গুটি যদি মলদ্বারের ভেতরে থাকে তাকে ইন্টার্নাল পাইলস বলে। দুই ধরনের পাইলস থাকলে তাকে মিশ্রিত পাইলস বলে। 


পায়খানার পর ব্যাথা থাকে। পায়খানা করতে রোগী ভয় পায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাইলসে রক্ত বের হয়।


জার্মান  কম্বিনেশন হোমিওপ্যাথি ওষুধ

পাইলসের একটিমাত্র জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ
R13

ওষুধটির নাম R13. এটি জার্মান কোম্পানি ডা. রেকওয়েগ তৈরি করে। যেকোনো করণে যদি পাইলস হয়ে থাকে তাহলে ওষুধটি খুবই উপকারী। 


এই ওষুধটিতে যেসমস্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ মেশানো রয়েছে তা প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করা আছে। আপনারা দেখে নিন। 


সেবনবিধি


>বড়রা ১৫ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 


>ছোটরা ৭ ফোঁটা করে কাপের চারভপাগের এক ভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। 


উপদেশ


আপনাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যে গুরুপাক খাবার খাবেননা, মশলাদার খাবার খাবেন না যার ফলে আপনাদের গ্যাস হয়, আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্য হয় এবং মলদ্বারে কষ্ট হয়। 


ওষুধটি যদি আপনারা তিনমাস ধরে খান তাহলে অর্শ বা পাইলস ভাল হয়ে যাবে।