গ্যাসের ফলে যেসমস্ত রোগ হয় তার হোমিও ওষুধ diseases-from-acidity
আমরা আজ এসিড বা অম্লের ফলে যে সমস্ত রোগ হয় যেমন গ্যাস, বদহজম, কৃমি, মাথাব্যথা, মাথাধরা, পিত্তের গন্ডগোল, সাদাস্রাব, ধাতু দুর্বলতা, পক্ষাঘাত, কোষ্ঠকাঠিন্য, পিত্তের সমস্যা, মুখ টক, বুক জালা ইত্যাদি রোগ ও তার একটি মাত্র ঔষধ সম্বন্ধে আলোচনা করব।
![]() |
গ্যাসের ফলে যেসমস্ত রোগ হয় তার হোমিও ওষুধ |
বায়োকেমিকের যে ১২টি ওষুধ রয়েছে তার মধ্যে একটি বিশেষ ওষুধ হলো Natrum Phos 6x. এটি এক ধরনের লবন। এই লবন আমাদের শরীরে, পেশী, স্নায়ু, আমাদের মস্তিস্কের কোষে এবং শরীরের কোষ মধ্যস্থ পদার্থের মধ্যে পাওয়া যায়। এটি আমাদের শরীরে যে ল্যাক্ট্রিক এসিড থাকে তাকে কার্বনিক এসিডে ও পানিতে বিভক্ত করে।
ওষুধটি বিশেষ করে আামদের স্নায়ু, আমাদের পেশী, আমাদের অস্থি, ফুসফুস, আমাদের পেট, আমাদের মস্তিস্ক ইত্যাদির উপর কাজ করে। পিত্তদোষ, পিত্তশূল, পিত্তজনিত মাথাব্যথা, অজীর্ন, বাত, গ্যাস ইত্যাদি রোগের ক্ষেত্রেও ওষুধটি কার্যকর। ওষুধটি রক্ত পরিস্কার করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে, রক্তে সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডায়াবেটিস রোগের ক্ষেত্রে ওষুধটি খুব কার্যকর।
যেকোনো ধরনের কৃমি, সাথে টক বমি, টক ঢেকুর ইত্যাদি লক্ষণ লক্ষ্য করা যায় ন্যাট্রাম ফস সিক্স এক্স খুব কার্যকর একটি বায়োকেমিক ওষুধ।
সবুজ রঙের ডায়রিয়া হলে, ন্যাট্রম ফস খুবই কার্যকর একটি বায়োকেমিক মেডিসিন। মাথাঘোরা, মাথাধরা, মাথার উপরিভাগে যদি যন্ত্রণা থাকে, তার সাথে টক বমি বা টক ঢেকুরের মতো লক্ষণ থাকে তাহলে ন্যাট্রম ফস খুবই কার্যকর একটি বায়োকেমিক মেডিসিন।
শরীরের কোনো স্থান থেকে যদি হলুদ রঙের স্রাব নির্গত হয় তাহলে এই ওষুধ খুব কার্যকর।
চোখের ক্সেত্রে যদি হলুদ রঙেন স্রাব নির্গত হয়, চো্খ ওঠা, চোখের প্রদাহ ইত্যাদির ক্সেত্রে যদি ন্যাট্রম ফস ব্যবহার করা হয় তাহলে উপকার পাবেন।
শিশুদের কৃমি হওয়ার কারণে যদি ট্যারা দৃষ্টি হয়, ঘুমের মধ্যে যদি প্রস্রাব করে, দাত কিরমির কিরমরি করে তাহলে ন্যাট্রম ফস যদি প্রয়োগ করা হয় তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।
স্বন্দদোষে ন্যাট্রম ফস প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে। এসমস্ত লক্ষণে যদি অতিরিক্ত ধাতুক্ষয় হয় সেক্সেত্রে ন্যাট্রম ফস যদি প্রয়োগ করা হয় তাহলে উপকার পাওয়া যাবে।
কারো যদি পক্ষাঘাত বা প্যারালাইসিস হয়ে থাকে তাহলেও ন্যাট্রম ফস প্রয়োগ করলে উপকার পাওয়া যাবে।
মানসিক লক্ষণ
মানসিক দিক দিয়ে ভয়ানক উদ্বেগ লক্ষ্য করা যায়। রোগী সব সময় মনে করে যে একটি খারাপ সংবাদ তার কাছে আসবে বা ভয়ানক দুর্ঘটনার সংবাদ সে এখন শূনতে পাবে।
রোগীর স্মরণশক্তি কম, দুর্দশায় পরিপূর্ণ। সে মনে করবে যে অনেক লোক ঘরের মধ্যে চলাফেরা করছে কিন্তু আসলে সেগুলো আসবাবপত্র।
সে মনে করবে পাশের ঘরে অনেক লোক কথাবার্তা বলছে আর চলাফেরা করছে কিন্তু আসলে সেটা নয়।
সে ভীত, সে উত্তেজিত, সে খিটখিটে মেজাজের হবে।
এসব লক্ষণ বর্ষার সময় বৃদ্ধি পায়। বিকেলে আর সন্ধ্যায় বৃদ্ধি পায়। রোগী খোলাবাতাস সহ্য করতে পারে না।
গায়ে যাদের টক গন্ধ, ঘামের গন্ধে যদি টক টক ভাব থাকে তাহলেও এ ওষুধটি কার্যকর।
মহিলাদের ঋতুস্রাবের সঙ্গে যদি টক গন্ধ থাকে এবং সাদাস্রাবের ক্ষেত্রে ন্যাট্রম ফস ব্যবহার করা হয়।
সেবনবিধি
>বড়রা চারটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। চুষে খাবেন। গরম পানিসহ খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাবেন।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। চুষে খাবে। গরম পানিসহ খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট পর খাবেন।
যারা চুষে খেতে পারবে না তারা একচামচ গরম পানিতে গুলিয়ে ওষুধটি খাবেন।
এভাবে যদি খান তাহলে আপনারা এই ভিডিওটিতে যেসমস্ত রোগলক্ষণ বললাম সেগুলো থেকে মুক্তি পাবেন।