শিশুর মেধা বিকাশে হোমিওপ্যাথি ওষুধ
শিশুদের মধ্যে নানারকম সমস্যা রয়েছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা দেখা দেয় তাহলো তারা ঠিকমতো খেতে চায়না, খেলেও পুষ্টি শরীরে লাগে না। তাদের ওজন বড়ে না, পাতলা ও দুর্বল হয়ে পড়ে। আজকের ভিডিওতে এই সমস্যা থেকে মুক্তিতে একটি কমপ্লেক্স হোমিওপ্যাথি টনিক সম্পর্কে আলোচনা করব।। তাই যারা বিষয়টি জানতে চান এই পোস্ট/ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।
শিশুর মেধা বিকাশে হোমিওপ্যাথি ওষুধ |
বাচ্চারা বিভিন্ন কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে। তারা ঠিকমতো খেতে পারে না। এবার সেই কারণগুলো নিয়ে আলোচনা করছি।
কারণসমূহ
>এর মধ্যে প্রথম কারণ কৃমি। কৃমির কারণে খাবার খেলেও শিশুদের শরীরে পুষ্টি লাগে না।
>ক্যালসিয়ামের ঘাটতির কারণেও শিশুরা দুর্বল হয় ।
>ক্ষুধা কম ক্ষুধা কম থাকা শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে।
>লিভারের সমস্যার কারণে গ্যাস হয়।তাই শিশুরা ঠিকমতো খেতে পারেনা।
>এছাড়াও বিভিন্ন ভিটামিনের অভাবে শিশুদের শরীরের ওজন বৃদ্ধি পায়না।
কার্যকর জার্মান হোমিওপ্যাথি ওষুধ ওষুধ
এক্ষেত্রে তিনটি ওষুধ লাগবে-
১. chelidonium Q
2. avena sativa q
3. alfalfa q
Chelidonium Q |
Avena Sativa Q
Alfalfa Q |
উল্লিখিত তিনটি ওষুধ ২০ এমএল করে কিনে একটি ১০০ এমএলের কাচের শিশিতে সমপরিমাণে মিশিয়ে ভাল করে ঝাকিয়েঁ নিবেন। তৈরি হয়ে গেল শিশুদের একটি হোমিওপ্যাথি টনিক যেটি শিশুদের ক্ষুধা ও ওজন বৃদিধ করতে সাহায্য করবে।
সেবনবিধি
>এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের ৫ ফোটা করে ওষুধ কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়াবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাওয়াবেন।
>৫ বছর থেকে ১০ বয়সী শিশুদের ১০ ফোটা করে ওষুধ কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়াবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাওয়াবেন।
এভাবে যদি আপনারা তিনমাস খাওয়ান তাহলে শিশুদের লিভারের দুর্বলতা দূর হয়ে যাবে, শারীরিক গঠন ভাল হবে অর ওজন বৃদ্ধি পাবে।
বায়োকেমিক ওষুধ Five Phos 6x
উল্লিখিত ওষুধের সাথে শিশুদের Five Phos 6x খেতে হবে।
সেবনবিধি
>এক থেকে তিন বছর বয়সী শিশুদের দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়াবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাওয়াবেন। চুষিয়ে বা গুলিয়ে খাওয়াবেন। তার সাথে পানি খাইয়ে দিবেন।
>৫ থেকে ১০ বছর বয়সী শিশুদের চারটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাওয়াবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাওয়াবেন। চুষিয়ে বা গুলিয়ে খাওয়াবেন। তার সাথে পানি খাইয়ে দিবেন।
এভাবে যদি খাওয়ান তাহলে শিশুদের ওজন বৃদ্ধি পাবে। ক্ষুধা বৃদ্ধি পাবে, হাড় শক্ত হবে, বেইন তীক্ষ্ন হবে। মাংসপেশীর দুর্বলতা দূর হবে।