আজকের ভিডিওতে আমরা রমজান মাসে আপনারা কিভাবে ওষুধ খাবেন সেট নিয়ে আলোচনা করব। 

রমজানে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম
রমজানে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খাওয়ার নিয়ম  


রোজা রাখার কারণে অনেেকেই ঠিকঠাক সময়ে ওষুধ খেতে পারেন না। যেসমস্ত ক্ষেত্রে সকাল, দুপুর ও রাতে ওষুধ খাওয়ার কথা বলা হয়েছে রোজায় তো সেই সময়ে ওষুধ খেতে পারবেন না। 


রোজা রাখাার ফলে আমরা ওষুধ খাওয়ার তিনটি সময় পেয়ে থাকি তাহচ্ছে -ইফতারের পর, এশার নামাজের আগে-পরে আর সেহরি করার আগে-পরে। এই তিনটি সময়ে আমাদের ওষুধ খেতে হবে। 


যেমন ধরেন কোনো ওষুধ আপনাকে তিনবার খেতে দেওয়া হয়েছে, খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে খেতে দেওযা হয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার ইফতার করার ৩০ মিনিট পর এবং খাওয়ার আগে ওষুধ খেতে হবে। তারপর এশার নামাজের পর খাবারের ৩০ মিনিট আগে খাবেন। আর সেহরী করার ৩০ মিনিট আগে ওষুধটি খাবেন। 


আর যদি আপনাকে দিনে ৩০ বার খাওয়ার ৩০ মিনিট পর ওষুধ খেতে বলা হয় তাহলে ইফতারের ৩০ মিনিট পর একবার ওষুধ খাবেন। তারপর এশার নামাজের পর খাবারের ৩০ মিনিট আগে ওষুধ খাবেন। আর সেহরীর ৩০ মিনিট পর ওষুধ খাবেন। যদি সেহরীর পর ৩০ মিনিট না পান তাহলে ১০ মিনিট আগে হলেও ওষুধ খেয়ে নেবেন। 


বিশেষ করে গ্যাস, বদহজম ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে ওষুধগুলো দেওয়া হয় তা খাওয়ার পর দেওয়া হয় আর সেগুলো আপনারা এভাবে খাবেন। 


এর সাথে যদি আরো কোনো ওষুধ আপনাকে খেতে হয় তাহলে এইসময় থেকে ১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে দিয়ে ওষুধগুলো খাবেন। 


এবার বলি দুইবার যে সমস্ত ওষুধ খেতে হয় সেগুলো কীভাবে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে যে ওষুধগুলো খেতে বলা হয় তা আপনি এশার নামাজের  সময় রাতের খাবারের ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নেবেন। সেহরীর সময়  খাবার ৩০ মিনিট আগে খেয়ে নিবেন। এভাবে দুবার খাওয়া খুবই সহজ। 


যদি এর সাথে অরো ওষুধ দেওয়া থাকে তাহলে ১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে দিয়ে খাবেন। 


রোজা অবস্থায় যদি আপনারা মনে করেন ওষুধের প্রায়োজন আছে ওষুধ খেলে ভাল হতো সেক্ষেত্রে রোজা না ভেঙে আপনারা যদি মনে করেন তাহলে চামড়ার ওপর যতটা ডোজ বলা হয়েছে সেটি দিয়ে ম্যাসাজ করে দিলেও ওষুধ কাজ করবে।