কোমরের ব্যথা কটি বাত, পিঠের ব্যথা, ব্যাকপেইন, লোয়ার ব্যাকপেইনের কারণ ও এর কার্যকর হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা বা ওষুধ সম্বন্ধে আলোচনা করব। 

কোমর ও পিঠের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
কোমর ও পিঠের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
কারণ


এসব ব্যথার নানা কারণ  রয়েছে যার মধ্যে যে সমস্ত কারণগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে যে আমাদের যে মেরুদণ্ড রয়েছে তার ডিস্কের ক্ষয় বা বৃদ্ধি। এই ডিস্কগুলোর ক্ষয় বা বৃদ্ধির কারণে কটিবাত বা পিঠের ব্যথা হয়ে থাকে। 


দ্বিতীয় যে কারণটি রয়েছে তা হলো সায়টিক যে নার্ভ রয়েছে সেই নার্ভের উপর আমাদের যে স্পাইনাল কর্ডের ডিস্কগুলো রয়েছে তাতে চেপে যাওয়া। 


কোমরের ব্যথার তৃতীয় কারণ হলো প্রস্রাবের গন্ডগোল অর্থাৎ কিডনির প্রবলেম আর লিভারের প্রবলেম। এর ফলেও আমাদের মাজার ব্যথা হয়। 


কোমরের ব্যথার যে চতুর্থ কারণ সেটি হচ্ছে মহিলাদের জরায়ুর সমস্যা। জরায়ুর বা ডিম্বাশয়ের যদি প্রবলেম তাকে তাহলে কোমরে ব্যথা হয়। 


পঞ্চম যে কারণ সেটি হলো আঘাত লাগা। আমাদের স্পাইনাল কর্ডে বা মেরুদণ্ডে যদি আঘাত লাগে বা পিঠে যদি আঘাত লাগে এই আঘাত লাগার ফলেও অঅমাদের কটিবাত হয় বা কোমরে ব্যথা হয়। 


মোটামুটি এই সমস্ত কারণেই আমাদের পিঠে ব্যথা আর কোমরে ব্যথা হয়। 


কার্যকর হোমিওপ্যাথি ওষুধ


ওষুধটি হলো ভারতের এসবিএল কোম্পানির Vertefine Drops. এটিতে অনেকগুলো ওষুধ মেশানো আছে। প্যাকেটের গায়ে ওষুধগুলোর উল্লেখ আছে। আপনারা দেখে নিবেন। 

কোমর ও পিঠের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
Vertefine Drops


সেবনবিধি


>বড়রা ১৫ ফোঁটা করে কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 


>ছোটরা ৭ ফোঁটা করে ওষুধ কাপের চারভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। 


এই ওষুধটি যদি আপনারা খান তাহলে খুব তাড়াতাড়ি কোমরের যন্ত্রণা থেকে আরাম পেয়ে যাবেন। 


বায়োকেমিক ওষুধ


এছাড়া দুটি বায়োকেমিক ওষুধ খেতে হবে। এগুলো হলো -magnesia phosphorica 6x ও Calcarea Fluorica 12X. 

কোমর ও পিঠের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
Magnesia Phosphorica 6x

কোমর ও পিঠের ব্যথার হোমিওপ্যাথি ওষুধ
Calcarea Fluorica 12X.


সেবনবিধি


>বড়রা চারটি চারটি করে মোট আটটি ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। চুষে খাবেন। গরম পানিসহ খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 


>ছোটরা দুটি দুটি করে  চারটি ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন।  চুষে খাবেন। গরম পানিসহ খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। 



এই ওষুধগুলো আপনারা কনটিনিউ তিন মাস খেতে পারেন। তিনমাসের মধ্যে সুস্থ হয়ে যাবেন।