কিডনির পাথর মুত্র পাথুরি থেকে মুক্তি
কিডনিতে পাথর ও মূত্র পাথুরী বর্তমানে প্রায় মানুষের মধ্যেই লক্ষ করা যাচ্ছে। আজ এই বিষয়ে কার্যকর হোমিওপ্যাথি ও বায়োকেমিক ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব। তাই যারা বিষয়টি জানতে চান তারা লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
কিডনির পাথর মুত্র পাথুরি থেকে মুক্তি |
>কিছু পদার্থ জমে পাথর হয়ে থাকে। যেমন ক্যালসিয়াম, অক্সিলেট, ইউরিক এসিড জমে আমাদের কিডনিতে পাথর হয়ে থাকে।
>আমাদের মূত্রনালীতে ৫ধরনের পাথর হয়ে থাকে। এই ৫ ধরনের পাথর হওয়ার মূলে যে কারণ তা হচ্ছে ঠিকমতো পানি পান না করা।
>পাথরগুলোর মধ্যে একটি হলো ক্যালসিয়াম যুক্ত পাথর, অক্সিলেটযুক্ত পাথর। ক্যালসিয়াম অতিরিক্ত খেলে, আমাদের বিপাকীয় ক্রিয়ার ফলে যদি আমাদের ক্যালসিয়াম বেশি উৎপন্ন হয়, ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার বা ওষুধ বেশি খেলে সেক্ষেত্রে আামদের কিডনিতে, মূত্রথলীতে তৈরি হয়।
>একইভাবে অক্সিলেট জাতীয় খাবারও আমরা যাতে বেশি খাই সেক্ষেত্রেও অক্সিলেট জাতীয় পাথর তৈরি হয়।
>ইউরিক এসিড জমে যে পাথরটি হয় তার কারণ প্রোটিন জাতীয় খাবার বেশি খেলে এবং বিভিন্ন রোগ যেমন ডায়াবেটিস মেটাবোলিজমের বিপকীয় ক্রিয়ায় যদি গন্ডোগোল তাহলে ইউরিক এসিড জমে কিডনিতে ও মূত্রণালীতে পাথর তৈরি হয়।
>চার নাম্বার পাথরটি হলো স্ট্রুভিড স্টোন। এটি আমাদের ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ফলে মূত্রথলী-মূত্রনালীতে ইনফেকশনের ফলে হয়ে থাকে।
>৫ নাম্বার পাথরটি হলো সিস্টাইন স্টোন। এটি বংশগত কারণে হয়ে থাকে। এর ফলে আমাদের শরীরে অ্যামিনো এসিড জমে পাথরটি তৈরি হয়ে থাকে।
লক্ষণসমূহ
>পিঠে, কোমড়ে ও কিডনির জায়গাতে ব্যথা অনুভব হবে।
>প্রস্রাব লাল ও হলুদ হবে।
>প্রস্রাব করার সময় জ্বালা হবে।
>প্রস্রাব করার পর আবার প্রস্রাব হবে এরকম অনুভব হবে।
>প্রস্রাবে দুর্গন্ধ থাকবে।
>বমি হতে পারে। বমি বমি ভাব থাকবে।
>জ্বরও হতে পারে।
এসব লক্ষণ থাকলে তলপেট আল্ট্রাসনোগ্রাম করলে বোঝা যাবে যে পাথর আছে কীনা
হোমিওপ্যাথি ওষুধ
ওষুধটি হলো Clear Stone Drops. এটি ভারতের এসবিএল কোম্পানির তৈরি। এটিতে যেসমস্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ মেশানো রয়েছে সেগুলো প্যাকেটের গায়ে উল্লেখ করা আছে। আপনারা দেখে নিবেন।
ওষুধটি খেলে মূত্রথলী-মূত্রনালীতে পাথর তৈরি বন্ধ হয়ে যাবে। ইতিমধ্যে যেসব পাথর হয়েছে সেগুলো ক্ষয় হয়ে প্রস্রাবের মাধ্যমে বের হয়ে যাবে।
ওষুধটি খাওয়ার সাথে সাথে প্রতিদিন ৪ লিটার করে পানি পান করতে হবে।
সেবনবিধি
>বড়রা ১৫ ফোঁটা করে কাপের চার ভাগের একভাগ পানিতে দিয়ে দিনে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন।
>ছোটরা ৭ ফোঁটা করে দিনে সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। কাপের ৪ ভাগের একভাগ পানিসহ খাবে।
বায়োকেমিক ওষুধ
যদি ক্যালসিয়ামযুক্ত পাথর হয় অর্থাৎ প্রস্রাবে যদি সাদা তলানী জমে তাহলে ক্যালকেরিয়া ফস সিক্স এক্স খেতে হবে।
>৪টি করে ট্যাবলেট বড়রা সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে।
যদি ক্লিযারস্টোন খান তাহলে১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খেতে হবে।
যদি ইউরিক এসিড জমে আপনার পাথর হয় নেট্রাম ফস সিক্স এক্স খেতে হহবে। ইউরিক এসিড আছে কীনা জানতে রক্ত পরীক্ষা করলেই হবে।
>বড়রা ৪টি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
যদি ক্লিযারস্টোন খান তাহলে১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খেতে হবে।
যদি ইনফেকশনের কারণে পাথর হয় তাহলে সাইলেসিয়া সিক্স এক্স খেতে হবে।
>বড়রা ৪টি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
যদি ক্লিযারস্টোন খান তাহলে১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খেতে হবে।
ব্যথা থাকে সেক্ষেত্রে ম্যাাগনেসিয়াম ফসফোরিকাম সিক্স এক্স খেতে হবে।
>বড়রা ৪টি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
যদি ক্লিযারস্টোন খান তাহলে১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খেতে হবে।
যেকোনো ধরনের কিডনির সমস্যার কারণে প্রস্রাবে যদি সমস্যা থাকে, প্রস্রাবে জ্বালা হয় , ঠিকমতো প্রস্রাব না হয় ন্যাট্রাম সালফিউরিকা সিক্স এক্স খেতে হবে।
>বড়রা ৪টি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবেন। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবেন। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
>ছোটরা দুটি করে ট্যাবলেট সকাল, দুপুর ও রাতে খাবে। খাওয়ার ৩০ মিনিট আগে বা পরে খাবে। চুষে খেতে হবে। পানিসহ খেতে হবে।
যদি ক্লিযারস্টোন খান তাহলে১০ মিনিট গ্যাপ দিয়ে খেতে হবে।
এভাবে যদি ওষুধগুলো ৩ মাস খান তাহলে পাথর তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যাবে আর যে পাথরগুলো রয়েছে সেগুলো ক্ষয় হয়ে প্রস্রাবের সাথে বের হয়ে যাবে।
তিন মাস খাওয়ার পর টেস্ট করে দেখবেন যে পাথর কমেছে কীনা। পাথর যদি নেই হয়ে যায় তাহলে ওষুধ বন্ধ করে দেবেন আর যদি কিছুটা থেকে যায় তাহলে আবার তিনমাস খাবেন।
ওষুধগুলো অবশ্যই ভাল কোনো ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।